খিদেও কমবে, ওজনও বাড়বে না! রাতে এড়িয়ে চলুন এই খাবারগুলি.
নিজস্ব প্রতিবেদন: শরীর সুস্থ রাখতে সারাদিন কি খাচ্ছেন, তার প্রভাব অনেকটা। সকালের জলখাবার থেকে শুরু করে রাতের খাবার, প্রতিবার প্রতি খাবারের প্রভাব শরীরে পড়বেই। আর এখানেই কিছু বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে। কারণ, সারাদিনের মতোই রাতে কি খাবার খাচ্ছেন তার উপর নির্ভর করে শারীরিক সুস্থতা।
আয়ুর্বেদ চিকিত্সা অনুসারে, রাতের খাবারে আমরা অজান্তেই এমন কিছু খেয়ে ফেলি, যা মোটেই বিজ্ঞানসম্মত নয়। তাহলে চলুন জেনে নিন উন্নত স্বাস্থ্যের জন্য ঘুমানোর সময় যেসব খাবার খাওয়া উচিত নয় সেগুলি হল.
১)মশলাযুক্ত খাবার- আপনি যদি দেরি করে ঘুমিয়ে থাকেন তাহলে আপনাকে বিশেষ করে সব ধরনের মশলাযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। কারণ আপনার খাবার খাওয়ার সময় আর ঘুমনোর সময় যদি একদম কাছাকাছি হয় তাহলে হজমের খুব বেশি সমস্যা হতে পারে।
২) রাতে দই নৈব নৈব চ- রাতে দই খাওয়া উচিত নয়। দই অনেকক্ষণ পেট ভরে থাকতে সাহায্য করে ঠিকই, কিন্তু রাত্রে অতিরিক্ত পেট ভরে গেলে তা থেকে অস্বস্তি হতে পারে। যেমন- বমি বমি ভাব, পেটে ব্যাথার মত সমস্যাও শুরু হয়ে যেতে পারে।
৩) চা এবং কফি:- অনেক লোক, বিশেষ করে ছাত্ররা রাতে জেগে থাকার জন্য চা এবং কফি খাওয়ার প্রবণতা রাখে। যদিও এটা অল্প পরিসরে সক্রিয় অনুভূতিতে সাহায্য করতে পারে বলে মনে হতে পারে। কিন্তু, দীর্ঘমেয়াদে এটি অনিদ্রা, উদ্বেগ, ঘুমের গভীরতা কমিয়ে দিতে পারে।।
৪)ভাজাভুজি এড়িয়ে যেতে হবে- দিনের যে কোনও সময়ে তেলে ভাজা খাবার এড়িয়ে যাওয়া ভালোই। রাতের খাবারে লুচি, পরোটা থেকে যত দূরে থাকবেন ততই ভালো। ঠিকমতো হজম না হলে গ্যাস-অম্বলের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
৫) নুনের ক্ষেত্রে- আয়ুর্বেদ চিকিত্সা অনুসারে, সন্ধ্যা ৭ টার পর নুন খাওয়ার পরিমান কমিয়ে দিতে হবে। তরকারিতে নুন খেলেও কাঁচা নুন সরিয়ে রাখুন। রাত্রে শরীরে সোডিয়ামের আধিক্য উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা ডেকে আনতে পারে।
৬)ফল খাওয়া যাবে না- আয়ুর্বেদ মতানুসারে, কোনও ঋতুতেই রাত্রে ফল খাওয়া উচিত নয়। ফল সাধারণত হালকা এবং ঠাণ্ডা জাতীয় খাবার। যাঁদের ঠাণ্ডা লাগার ধাত রয়েছে, তাঁরা রাতে ফল খাওয়া থেকে দূরে থাকুন।
৭) অ্যালকোহল- অ্যালকোহলের অনুপস্থিতিতে অনেকেরই সামগ্রিক দিনটি অযৌক্তিক মনে হতে পারে। কারণ এটি মস্তিষ্কের ক্রিয়াকলাপকে ধীর করে দেয়। এর বেশ কিছু ক্ষতিকারক প্রভাব থাকতে পারে, তবে দীর্ঘমেয়াদে এটি ঘুমের গভীরতা কমিয়ে দেয়। যা মানসিক চাপের জন্য মারাত্মকভাবে দায়ী হয়।
৮) মিষ্টি- আপনার রাতের খাবারের পরে ঘন ঘন মিষ্টি খাওয়া ভাল না। চিনি জাতীয় খাবার রাতে বেশি খেলে তা ঘুমের সমস্যার জন্য দায়ী হতে পারে। রাতে মিষ্টি খাওয়া আপনার ইনসুলিন প্রতিরোধের উপরও প্রভাব ফেলতে পারে। কারণ রাতের খাবারের পর অনেক শারীরিক ক্রিয়াকলাপের অনুপস্থিতি থাকে। তাই, কিছু সময়ের মধ্যে এটি আপনার ডায়াবেটিস হওয়ার সম্ভাবনা বাড়িয়ে তুলতে পারে।