ওযুর ফজিলত | আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন
![]() |
ওযুর ফজিলত |
আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসুলুল্লাহ (সাঃ) কবরস্থানে এলেন এবং বললেনঃ আসসালামু আলাইকুম দারা কাওমিম মুমিনীন, ওয়া ইন্না ইনশাআল্লাহু বিকুম লাহিকুন (হে মুমিনদের আবাসস্থলের অধিবাসিরা! তোমাদের প্রতি শান্তি বর্ষিত হোক, আর আমরা ইনশাহআল্লাহ তোমাদের সাথে মিলিত হব)।
আমার হৃদয়ের একান্ত ইচ্ছা ছিল আমাদের ভাইদেরকে দেখবো। সাহাবাগণ জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমরা কি আপনার ভাই নই? জবাব দিলেনঃ তোমরা আমার সাহাবী (সাথী) আর আমার ভাই হচ্ছে যারা এখনো দুনিয়ায় আসেনি।
সাহাবাগণ বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! আপনার উম্মতের যেসব লোক এখনো আসেনি তাদের আপনি কেমন করে চিনবেন?
তিনি জবাব দিলেনঃ দেখ, যদি কোন ব্যক্তির, সাদা কপাল ও সাদা পাওয়ালা ঘোড়া অন্য কালো ঘোড়ার মধ্যে মিশে থাকে তাহলে কি সে তার ঘোড়া চিনে নিতে পারবেন না?
সাহাবাগণ বললেন, হে আল্লাহর রাসুল! হা পারবে?
তিনি বললেনঃ তাহলে কিয়ামতের দিন তারা এমন অবস্থায় আসবে যখন উযূর প্রভাবে তাদের কপাল ও হাত পা থেকে উজ্জল্য ঠিকরে পড়তে থাকবে এবং আমি তাদের আগেই হাওযে (কাওসারে) পৌছে যাব।
(ইমাম মুসলিম হাদিসটি বর্ণনা করেছেন। রিয়াদুস সালেহিন ১০২৯, খন্ড- ৩)
আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেনঃ আমি কি তোমাদের সেই জিনিসের খবর দেব না যার সাহায্যে আল্লাহ গুনাহ মুছে ফেলেন এবং যার মাধ্যমে মর্যাদা উন্নত করেন?
সাহাবাগণ বললন, হ্যা হে আল্লাহর রাসুল!
তিনি বললেনঃ কঠিন সময়ে পরিপূর্ণভাবে উযু করা, মসজিদের দিকে পদক্ষেপ করা এবং এক নামাজের পর আর এক নামাজের জন্য অপেক্ষায় থাকা। এটিই তোমাদের সীমান্ত পাহারা, এটিই তোমাদের সীমান্ত পাহারা (প্রিয় জিনিস)।
(ইমাম মুসলিম হাদিসটি বর্ণনা করেছেন। রিয়াদুস সালেহিন ১০৩০, খন্ড-৩)
আবূ মালেক আল-আশআরী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেনঃ পবিত্রতা অর্জন করা হচ্ছে ঈমানের অর্ধাংশ।
(ইমাম মুসলিম হাদিসটি বর্ণনা করেছেন। রিয়াদুস সালেহীন ১০৩১, খন্ড-৩)
উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেনঃ তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি উযু করে পরিপূর্ণভাবে অথবা (তিনি বলেন) যথাযতভাবে, তারপর বলে, " আশহাদু আল-লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারীকা লাহু ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান আবদুহু ওয়া রাসূলুহু”, তার জন্য জান্নাতের আটটি দরজা খুলে দেয়া হবে। সেগুলির যেটির মধ্য দিয়ে ইচ্ছা সে জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে।
(
ইমাম মুসলিম হাদিসটি বর্ণনা করেছেন। রিয়াদুস সালেহিন ১০৩২, খন্ড-৩)
আর ইমাম তিরমিযীর বর্ণনায় আরো আছেঃ "আল্লাহুম্মাজআলনী মিনাত তাওয়াবীনা ওয়াজআলনী মিনাল মুতাতাহহিরীন" (হে আল্লাহ! আমাকে তাওবাকারীদের অন্তর্ভক্ত কর এবং অত্যধিক পবিত্রতা অর্জনকারীদের মধ্যে শামিল করো)।